Saturday, June 11, 2011

মার্কিন বনাম ওসামা বিন লাদেন

ওসামা বিন লাদেন জন্ম গ্রহণ করেছেন সৌদী আরবে। এক ধর্নাঢ্য লাদেন পরিবারে। তাদের পরিবারের সম্পত্তি ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। তার অংশে সে পেয়েছিলেন ৩০-৫০ মিলিয়ন ডলার ম্যূল্যের অর্থ সম্পত্তি। এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি বিপদজনক পথ বেছে নিলেন। আল-কায়েদার ভাষায় তারা জিহাদী আর মার্কিনীদের ভাষায় লাদেন সন্ত্রাসী। জন্ম ও শিা মুসলীম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশে। সাধারণত সন্ত্রাসী বা জিহাদী মানুষ তখনই হয় যখন সমাজ ও রাষ্ট্রের থেকে সুবিধা বঞ্জিত হয়। পৃথিবীতে মুসলীম দেশ ও মুসলমানের সংখ্যা খ্রীষ্টান কিংবা অন্য কোন ধর্মের থেকে কম নয়। তবে লাদেন কোন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। সেটা আমাদের কাছে কী প্রশ্ন হয়ে থাকে না। টুইন টাওয়ার ধ্বংস করার পর প্রায় এক যুগ লেগে গেলো লাদেনকে ধরতে। মার্কিনী ও ওসামা বিন লাদেনের ইঁদুর বিড়াল খেলার মাঝে ধ্বংস হল কত নিরীহ মানুষের প্রাণ। টুইন টাওয়ারের আঘাত হানার পর মারা গেছে খ্রীষ্টান, মুসলমান, বৌদ্ধ ধর্মাবল্বীসহ অনেক সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেদিন ইহুদী ধর্মের কোন লোক ক্যান মারা গেলনা।
মার্কিনমূলকের চোখ শুধু পড়ছে মুসলমান দেশগুলোর দিকে। একের পর এক গণতন্ত্রের নামে দখল নিচ্ছে মুসলীমদেশ গুলো। যুদ্ধের ফলে সাধারণ মুসলমানরা তো অবশ্যই খোদ আমেরিকানরাও নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে দিন অতিবাহীত করছে। আমেরিকাতেও দিন দিন বেকার ও দারীদ্রের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাজার হাজার মার্কিন সন্য যুদ্ধেেত্র মারা পরছে আর তাদের সঙ্গ দিতে গিয়ে মিত্র দেশগুলোর সন্যরাও মারা পরছে। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনেরা তাদের প্রিয় লোক হারাচ্ছে। তারপরেও মার্কিন সরকারের হুশ হচ্ছেনা।
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে নিরাপত্তা রা বুহ্যভেদ করে। কমান্ডো এ্যাকশন চালিয়ে অপরাধীকে ধরা এবং তাকে হত্যা করা। সেই দেশের সরকারের সাথে পুর্বে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা না করেই। লাদেন যদি অপরাধী হয়েই থাকে, তাহলে তার কোন আদালতে রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। সেই আদালত তাকে কী মৃত্যু আদেশ দিয়েছে এবং কীভাবে তা কার্যকর করার আদেশ দিয়েছে। এত দিন পাতানো ম্যাচ দেখতাম এবং শুনতাম শুধু ক্রীকেট ও ফুটবলসহ অন্য খেলায়। এখন বিশ্ব রাজনীতির কর্ণধরাও যে পাতানো ম্যাচ খেলে তা প্রমাণিত। মুসলীম দেশই শুধু নয় স্বয়ং জাতীয়সংঘের মার্কিনীর বিপে করার কিছুই নাই। পুতুলের মত বিশ্ববাসী অবাক চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে খেলা দেখছে। শেখানো মক্তব্য মুসলামন মাত্রই মৌলবাদ। মৌলবাদী শব্দকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেই এগিয়ে চলেছে মার্কির্নীদের যাত্রা। শুভ হোক তাদের যাত্রা আর বিশ্ববাসীর নীরব দর্শন।

Friday, June 3, 2011

Wednesday, June 1, 2011

বিচ্ছিন্ন

মাথার উপর থেকে সূর্য সামান্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে। বিল্ডিং এর ছায়ার ভিতর দিয়ে হেঁটে বাসার দিকে যেতেই মনটা কেঁদে উঠলো। সময় তার নিষ্ঠুর দা দিয়ে কাটতে কাটতে গাছ থেকেই আলাদা করে দিয়েছে। আজ চাইলেও আর পারিনা অন্যদের সাথে মন খুলে মিশতে। রহিত হয়ে গেছে আমার মুখের ভাষা। আমি তো এমন ছিলাম না কখনও। কত সুন্দর হেসে খেলে সময় পার হয়ে যেত আমার। মনে মনে গালি দিতাম আশে পাশের মানুষদের। আসলে কি আমার আশে পাশের মানুষরাই দায়ী। তারাও তো আমার মতই পোড় খাওয়া কোন গাছের খন্ডিত অংশ। থুরী সময়ের টানে খসে পড়েছি মহাবিশ্ব থেকে বিশ্বে। বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে, বাংলাদেশ থেকে বগুড়া, বগুড়া থেকে কালিগঞ্জে, কালিগঞ্জ থেকে সরকার বাড়ী, সরকার বাড়ী থেকে আজিজ সরকার, আজিজ সরকার থেকে সালাম সরকার, সালাম সরকার থেকে রাসেল। মায়ের মৃতুর পর ভালবাসার পরিবর্তে ভালবাসা পেতেই বেশী আগ্রহী ছিলাম। আশে পাশে তাকালে মনে হয় আমি একা হয়ে গেছি। কোন বন্ধু-বান্ধবী নাই, মা-বাবা নাই, আত্মীয়-স্বজন নাই, মামা-মামী নাই, চাচা-চাচী নাই, সান্তনা জানানোর লোক নাই। আধুনীক জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছে। আমার মত আর কতজনের দীর্ঘশ্বাঃস দিয়ে এই আধুনীক সমাজ টিকিয়ে রাখতে হবে। আজ হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারছি যে মুখে না বললেও প্রায় সবারই মনের কথা একই। হারাতে চাই সবুজ ধানের জমিতে। সাঁতার কাটতে যাব গ্রীষ্মের নদীতে। পা মেলে বটতলায় বসে মনের সুখে বাশী বাজাতে চাই। হৃদয় উজার করে ভালবাসতে চাই মানুষকে, কোন কিছুর বিনীময়ে না। কিন্তু তার পরেও মন খুলে কথা বলতে চাই। ফিরে পেতে চাই আমার মুখের ভাষাকে। কত সুন্দর হত আমরা সবাই যদি শহুরে গাম্ভীর্য তারল্য করে মনখুলে মিশতাম একে অপরের সঙ্গে। তাহলে হয়ত এই শহরও আমাদের কাছে সুন্দর হয়ে উঠত। নিঃসঙ্গতার যাতাকলে পিষ্ঠ হতে হতো না আমার মত। নিঃসঙ্গতার কাছে টাকা পয়সাও তুচ্ছ্য হয়ে উঠে, হয়ে পড়ে মূল্যহীন।

Bijoy 2023