Wednesday, August 19, 2009

পরিবর্তিত সময়

আষাঢ় সেই কবে চলেগেছে বৃষ্টির দেখা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ পায়নি। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সবখানেই বৃষ্টির জন্য হাহাকার। দুই এক ঘন্টা টিপটিপ করে বৃষ্টি হয় যা বর্ষার চরিত্রের সাথে মেলে না। প্রকৃতিও তার চরিত্র বদলাতে শুরু করেছে আর এজন্য দায়িতো আমরা নিজেরাই। কিন্তু এই আবহাওয়ার জন্য বেশী দায়ী যারা তারা নিশ্চিন্তে আছে। প্রকৃতি তাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেনা কারণ ঘর-বাড়ী-অফিস-গাড়ী-পায়খানা সবখানেই এয়ারকন্ডিশন ছোঁয়া আছে। চিন্তা করতে করতেই রাহির কপালের মাঝখানে চিন চিন করে ব্যাথা শুরু হলো। আর চিন্তা করতে ভাল লাগছে না চিন্তার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে এল রাহি। আজ বগুড়া থেকে তাঁর বন্ধু এসেছে। রাহির বাড়িও বগুড়া শহরের মধ্যেই।
রাহি : কখন রওনা দিয়েছিলে।
সোম : কালকে এসেছি ঢাকায়। তোমার মোবাইল বন্ধ তাই তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনাই।
রাহি : গতকাল রাত্রিতে কোথায় ছিলে।
সোম : এক বন্ধুর কাছে। আগামী কাল আমার বিসিএস পরীক্ষা আছে। সেই সকাল থেকে এই বাড়ীর সামনে দাড়িয়ে আছি। কখন তুমি পড়াতে আসবে সেই অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। এ ছাড়া তো কোন উপায় ছিলনা তোমার দেখা পাওয়ার।
রাহি : আসলে আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি যে বাসা বদলিয়েছি তার ঠিকানা তোমাকে দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তুমি যে বগুড়াতে গেলে আর কোন যোগাযোগই আমার সাথে করনি। তাই আমি ভেবেছি তুমি হয়ত আর ঢাকায় আসবে না।
সোম : বগুড়াতে থেকে কি করব? ওখানে তো আর চাকরীর কোন সুযোগ-সুবিধা নেই।
রাহি : তুমি শুধু বেকার হয়ে থাকলে।
সোম : কিভাবে?
রাহি : তুমি এক গো ধরে থাকলে যে সরকারী চাকরী ছাড়া প্রাইভেট চাকরী করবে না।
সোম : প্রাইভেট চাকরী করবো না তাতো বলিনি।
রাহি : পনের বিশ হাজার টাকার নীচে চাকরী পাওয়া আর চাকরী না করা একই কথা।
সোম : পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্সসহ মাষ্টার্স করলাম কি জন্য? আগে থেকেই কোন দোকানে বা কাঠমিস্ত্রির কাজ করলেই পারতাম তাহলে আমার অভিজ্ঞতা হয়ে যেত আর ইনকামও হতো সেই ছোট বেলা থেকেই। কিছু টাকা আমার সঞ্চয়ে থাকত।
রাহি : ঠিক আছে প্রাইভেট পড়ানোর সময় হয়ে গেছে তুমি বাসায় যাও ভাবীকে আমার কথা বললেই রুম খুলে দিবে।
সোম : তোমার সাথে আবার কখন দেখা হবে।
রাহি : রাত্রিতে। প্রাইভেট পড়িয়ে অফিসে যাব তারপর বাসায় যাব।
সোম : তুমি খাটতেও পাড়।
রাহি : এখন যদি না খাটি তবে আর কবে খাটবো বয়স হয়ে গেলে।
সোম : তাহলে তুমি পড়াতে যাও রাত্রীতে দেখা হবে।
সোম রাহি দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী নতুন বাসাতে গিয়ে দরজায় নক করতেই পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ বৎসরের এক মহিলা দরজা খুলে দিল।
রানু : কাকে চান।
সোম : রাহি কি এই বাসায় থাকে।
রানু : জ্বী। রাহি আপনার কি হয়। আপনার বাড়ী কোথায়?
সোম : বন্ধু, আমার বাড়ী বগুড়াতে।
রানু : ওরাতো কেউ এখন বাসায় নেই রাহিরা বাসায় আসলে আপনি ওদের সাথে আসবেন।
সোম : ওতো রাত্রীতে আসবে। এতক্ষণ আমি কোথায় থাকব।
রানু : ঢাকার অবস্থা তো বোঝেনই।
এখন কোথায় যাব গোসল করা লাগতো কাপড়-চোপড়ও তো রাহির রুমে আছে। কাকরাইল মসজিদেই যাই ওখানেই হাত মুখ ধোয়া যাবে আর নামাযও পড়া যাবে। আলেম ওলামাদের বয়ানও শোনা যাবে। ইসলামী বিধি মোতাবেক চললে কষ্ট কম হয়না। শুধু ইসলামী পোশাক আর দাড়ি রাখার জন্য মানুষ অন্য চোখে দেখে। সবাই জিএমবি মনে করে ভয় পায় কেউ স্থান দিতে চায় না। আর এর জন্য দায়ী কিছু বিপথগামী ইসলামী নেতারা। তারা জোর করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নবীজি কি সন্ত্রাস করে রাষ্ট্র কায়েম করেছে। কখনও তিনি আমাদেরকে সেই পথ দেখাননি কিন্তু ওরা আখেরী জীবন চায়না। তারাতো পার্থিব জীবন আর ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত আর তাদের অপকর্মের দায়ভার আমাদের মত সাধারণ মানুষের ঘাড়ে এসে পড়েছে। টুপি দাড়ি ওয়ালা লোক দেখলে সাধারণ মানুষ বাকা চোখে তাকায়। যে জায়গায় মুসলামানরাই মুসলমানদেরকে বিশ্বাস করতে পারছেনা সে জায়গায় বিধর্মীরা কিভাবে মুসলমানদের বিশ্বাস করতে পারে। আজ আমাদের নৈতকতা কত নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। হতাশা আমাকে অক্টোপাসের মত গ্রাস করে নিয়েছে। একদিকে বেকার জীবন অন্যদিকে ইসলামী লেবাছের জন্য অবহেলা। আমার মত গুনাগার বান্ধার জন্য এ এক কঠিন পরীক্ষা। ধৈর্য্য ধরে যে এই পরীক্ষা পাশ করব সেই আশা খুব কম। প্রচন্ড গরমে নীচের স্যন্ড গেঞ্জী ঘেমে ভিজে গেছে। কাপড় বদলে যদি একটু ফ্রেশ হওয়া যেত তাহলে খুব ভাল লাগতো। সিঁড়ি দিয়ে নেমে বাজারের ভিতর দিয়ে মেইন রাস্তায় উঠে কাকারইল মসজিদের দিকে হাটছে আর চারদিকের ব্যস্ত নগরীর লোকদের দেখছে সোম। এর ভিতরে পরিচীত কোন মুখ তার নজরে পড়ে না অসহায়ের মত মাথা নীচু করে মসজিদ উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওখানেই নামায পড়ে রাত্রি পর্যন্ত অপেক্ষা করা আল্লাহ রেজেকে দানা পানি রাখলে ওখানেই মিলতে পারে। তবলীগের জামাতের লোকজন কাকরাইল মসজিদ থেকে চিল্লায় যায় আর সেইজন্যই হাজার হাজার মুসল্লী সেখানে জামাত বদ্ধ থাকে। খাবার গোসলের ব্যবস্থাও সেখানেই আছে সেই আশাতেই মসজিদে যাওয়া।
রাহি : রনি তোমার সাথে সোমের দেখা হয়েছে।
রনি : না তো। সোম কখন এসেছিল।
রাহি : সকালে ও আমার কাছ থেকে এখানে আসার কথা আর আমার মোবাইলে চার্জ নাই সেজন্য মোবাইল বন্ধ।
রনি : ভাবী কোন লোক এসেছিল।
রানু : হ্যাঁ দুপুরের দিকে এসেছিল। রাহিকে খোঁজ করছিল, সে নাকি রাহির বন্ধু।
রাহি : ভাবী, জানেন ওর থাকার কোন জায়গা নাই ঢাকায়। কোন জায়গায় যে থাকলো সারাদিন কি খেলো আল্লাহই ভালো জানে।
রানু : ওর লেবাস দেখে আমার কেমন জানি সন্ধেহ হচ্ছিল যে জিএমবির সদস্য কিনা। আর তোমাদেরও তো ঠিক মত চিনিনা। তোমরা কি কর তাও ঠিক মত জানিনা। আসলে বিশ্বাস এখানে মূল বিষয় আমার কি কাজটা খুব অন্যায় হয়েছে। আমার দিক থেকে ভেবে আপনারা বলেন।
রনি : তারপরেও যখন আমাদের পরিচয় দিয়েছে তখন ওকে থাকতে দিতে পারতেন। ওর ব্যাগ লাগেজ সব আমাদের কাছে রুমের ভিতর আছে। রাহি সোমের নাম্বার তোমার কাছে আছে থাকলে আমাকে দেও ফোন করে দেখি ও কোথায় আছে।
রাহি : ফোন করতে হবে না ও হয়ত কাকরাইল মোসজিদে আছে। কারণ আমি তো ওকে চিনি ওর লাষ্ট ঠিকানা কাকরাইল মোসজিদ।
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে ঘরের ভিতর থেকে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না আর যাবেই বা কি করে এই রুমের জানালার সাথে যেন ঐ বিল্ডিয়ের জানালা লাগালাগি। এই জানালা দিয়ে হাত বাড়ালে ঐ রুমের ভিতরে হাত ঢুকে যাবে। বিল্ডিংটা দেখলে বাড়ীর মালিকদের সংকির্ণ মনের পরিচয় পাওয়া যায়। তারা তাদের মূল্যবান সম্পত্তি হতে এক সেন্টিমিটার জায়গায় ছাড়তে নারাজ। বৃষ্টি হওয়ার শব্দ শুধু শোনা যাচ্ছে আর মাঝে মাঝে ঠান্ডা বাতাস ঘরে প্রবেশ করছে তাতেই বৃষ্টি অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। বৃষ্টি দিনে মন আনচান করার মত পরিবেশ ঢাকায় রুমে বসে থেকে পাওয়া কষ্ট। হ্যাঁ বৃষ্টির প্রকৃতি মজা খোলামেলা বড়লোকের বাড়ীতে বসে বোঝা যায়। কিন্তু ওদের পরিবেশ আছে কিন্তু মন বৃষ্টির মত সহজ সরল নয়। এর ভিতরে দরজার কলিং বেল বেজে উঠল। রাহি দরজা খুলে দিয়ে সোমকে ভিতরে নিয়ে আসল।
রনি : সোম কি অবস্থা? ভাল থাকবেই বা কেমন করে বৃষ্টিতে ভিজে একদম একাকার। তাড়াতাড়ি গামছা দিয়ে শরীর মুছে ফেল নইলে ঠান্ডা লাগবে।
সোম : ঠান্ডা লাগলেই বা কি? দুনিয়াদারী আর ভাল লাগছে না?
রাহি : ধৈর্য্যধারণকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন।
সোম : তুমি যদি দুদিন একরাত বাইরে বাইরে কাটাতে তাহলে বুঝতে ধৈর্য্য ধারণ কাকে বলে?
রনি : ঠিক আছে পরে কথা হবে আগে ভিজা কাপড় পাল্টাও।
সোম তার ব্যাগ খুলে কাপড় বের করে নিয়ে বাথরুমের দিকে গেল। ভাবী সোমকে বাথরুম দেখিয়ে দিল।
রাহি : সোম ফিরে এসেছে এখনতো ওকে আমার প্রাইভেট ছেড়ে দিতে হবে। মাসে চার-পাঁচ হাজার টাকার ধাক্কা আবার সামনে ঈদ।
রনি : তুমি জানতে না সোম ফিরে আসবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেই পারতে। তাহলে তো তোমাকে এই সমস্যায় পড়তে হত না।
রাহি : তা ঠিক বলেছে। আবার এই রুমেও তিনজন থাকা যাবেনা। মৃদুল ভাই বাসা ঠিক করার সময় দুইজনের বেশী লোক থাকা যাবেনা বলে ভাইয়ার সাথে কন্ট্রাক্ট করেছে। কিন্তু এখন কি করা যায়। সোমই বা কোথায় থাকবে এই কয়দিনের জন্য তো সোম বাসা বা ম্যাস খুঁজে পাবে না।
রনি : কোন একটা উপায় হবে মরার আগেই ভুত হয়ে যেওনা। সোম আসুক ও কি বলে তারপর ভেবে দেখা যাবে।
এর ভিতরে সোম গোসল করে ফ্রেশ হয়ে রুমে প্রবেশ করল।
সোম : তোমরা কি নিয়ে আলাপ করছিলে।
রাহি : পরে বলব, আগে চল খাওয়া দাওয়া করে আসি রাত্রি অনেক হয়েছে। ভাবী আমাদের খাবার দেন।
রানু : আপনাদের খাবার টেবিলে দেওয়াই আছে এসে খেয়ে যান।
রনি : চল খেয়ে দেয়ে গল্প করা যাবে। আর তোমারতো কালকে ছুটি তা না।
রাহি : কাল আমার ছুটি সারা দিন পরে পরে ঘুমাব।
সোম : আমার কালকে পরীক্ষা আছে। পরীক্ষা ভাল হলে চাকরী হয়েও যেতে পারে।
ওরা সবাই খাবার টেবিলে গিয়ে খেতে বসল। মুরগীর মাথা আর পায়ের ফ্রাই, শাকভাজি, মাছের ডিম আর ডাউল। খাবারের আইটেম মোটামুটি ভাল। ওরা তিনজন তৃপ্তিসহকারে খাবার খেয়ে উঠল। ভাবী ফ্রীজ থেকে বোতল ভরা ঠান্ডা পানি বের করে দিলেন। রনির বাসা থেকে আনা সিলিং ফ্যান অনেক কষ্ট করে রাহি লাগালো, আজ দুদিন হয় ওরা চেষ্টা করছে ফ্যানটা নিয়ে। ভাবী তাদের রুমের টেবিল ফ্যান নিয়ে এসে আজ কয়দিন হল বাতাস খাবার জন্য দিয়ে গেছে। রুমের ফ্লোরে বিছানা পারা ছিল সোমের তবলীগের বেডিং খুলে বিছানা পেড়ে তিনজনে শুয়ে গল্প করতে লাগল।
সোম : রাহি আমি কোথায় থাকব। আমরা একটা রুম দেখি যেখানে আমরা তিনজন থাকতে পারব।
রাহি : কেবল এইমাসে বাসায় উঠলাম আর এখনই রুম পরিবর্তন করতে হবে আর সামনে রোজা। রুম পরিবর্তন করতে চাইলে বাসাআলাকে পাঁচ তারিখের মধ্যে বলতে হতো।
সোম : তাহলে তুমি অন্য বাসা নেওয়ার পক্ষে না। রনি কি বল?
রনি : দেখ তোমরা যা ভাল মনে কর তাই হবে, তোমরা আগে সিদ্ধান্ত নেও কি করবে? তারপরে আমি আমার সিদ্ধান্ত দিব।
রাহি : তুমি মাসের পনের তারিখে এসে বাসা বদলাতে বললেই তো আর বদলানো যায় না।
সোম : দেখ আমি তোমাকে অনেক ভাবে সাহায্য করেছি।
রাহি : সাহায্য করেছো তা তো আমি অস্বীকার করছিনা। আর আমি যে তোমার উপকার করেছি এবং করেই চলেছি তা কি তুমি ভুলে গেলে।
সোম : তুমি উপকার করেছো তার বিনীময়ে টাকা পেয়েছো। যতনা আমার উপকার করেছো তার থেকে বেশী তোমার প্রয়োজনে কথা ভেবেছো।
রাহি : তাহলে তুমি বলতো চাইছো আমি স্বার্থপর।
রনি : তোমরা থামবে এই বয়সে এসে ঝগড়া করছো। একে অপরের বিপদের সময় দেখবে এটাই তো প্রকৃত বন্ধুর ধর্ম। তা না তোমরা বাচ্চা ছেলের মত রাগারাগি করছ।
রাহি : তুমি জাননা ওর যখন জন্ডিস হয়ে বাড়িতে গেল তখন থেকে আমি প্রাইভেট পড়াচ্ছি। ও আমাকে একটা রুম ঠিক করে দিয়ে বাড়ীতে গিয়েছিল। আমি আজ দুই মাস হল বাড়ীভাড়া টেনেছি, এদিকে আমার পরিবার রয়েছে, ছোট মেয়ে আছে সে স্কুলে পড়ে তার বেতন। আমি না খেয়ে থেকে হলেও তাদের প্রয়োজন মিটিয়েছি আর ভাললাগে না। আমি যদি তখন থেকে না পড়াতাম তাহলে কি সোম এখন এসে বলতে পারত আমার প্রাইভেট ফিরিয়ে দাও।
সোম : প্রাইভেট থাকতো না ঠিক আছে কিন্তু তার বিনীময়ে তো তুমি টাকা পেয়েছে।
রাহি : খেটেছি তাই পেয়েছি, তুমি ঘুরে বেড়াবে আর বলবে আমার জিনিস আমাকে ফিরিয়ে দাও।
রনি : তোমার তো একটা চাকরী আছে, ওর তো কিছুই নেই থাকার জায়গা পর্যন্তও নেই ওকে তুমি প্রাইভেট দিয়ে দাও।
রাহি : দিয়ে দিলে যদি হতো তাহলে দিয়ে দিতাম কিন্তু আমি ছেড়ে দিলে টিউশনিটা চলে যাবে কারণ আমাদের দিয়ে আর ওনারা পড়াবেন না। আমি অনেক অনুরোধ করে টিউশনিটা ধরে রেখেছি। এর মধ্যে সোম পড়াতে গেলেই আর পড়াতে দেবেনা। আমিও আর পড়াতে পাড়বো না সোমও আর পড়াতে পারবেনা।
সোম : সেটা পরে দেখা যাবে। আমি আমার টিউশনিটা চাই।
রনি : এখন ঘুমাও সকালে উঠে তুমি তোমার টিউশনি বুঝে নিও।

No comments:

Post a Comment

Bijoy 2023